জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল মামলার আপিল শুনানি স্থগিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।

২০০৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের দায়ের করা একটি রিটের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এ রায় পরবর্তীতে আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর দলটির করা আপিল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় খারিজ করে দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

২০২৪ সালে পুনরায় আইনি লড়াই শুরু করে দলটি। নিবন্ধন ফিরে পেতে তারা আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন জানায়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এই আবেদন গ্রহণ করে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসে। জুলাই মাসে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের চাপে ১ আগস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

পরবর্তীতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জামায়াত নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়। ২৮ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এর প্রেক্ষিতে দলটি আপিল বিভাগের কাছে নিবন্ধন মামলার পুনর্বিচারের আবেদন জানায়।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়। শুনানির সময় দলটির পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তবে আদালত আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখে।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলমান আইনি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক উত্তাপ দলটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলার রায় দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।